ল্যাতিন আমেরিকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। যেকোন প্রতিযোগিতায় এই দুটি দল মুখোমুখি মানেই অন্যরকম এক আমেজ তৈরি হয়। আর প্রতিযোগিতাটি যদি হয় ল্যাতিনের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের তাহলে তো কথাই নেই। আরও একটি কোপা আমেরিকার আসর চলছে। আর সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে পুরোনো এই লড়াই। এখনো যদিও মুখোমুখি হয়নি তারা, কিন্তু ভক্তরা তো আর থেমে নেই।
তবে চলুন একবার এই দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান জেনে নেয়া যাক। মেজর শিরোপাগুলোর মধ্যে ল্যাতিন জায়ান্ট ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতেছে সর্বোচ্চ ৫ বার। ফিফা কনফেডারেশন কাপ জিতেছে ৪ বার। কোপা আমেরিকা জিতেছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ বার। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতেছে ২বার। কোপা আমেরিকা জিতেছে ১৪ বার এবং কনফেডারেশন কাপ জিতেছে ১ বার। অনূর্ধ্ব পর্যায়ে ব্রাজিলের অর্জন:- ১. অলিম্পিক গোল্ড মেডেল জিতেছে ১ বার।
২. প্যান আমেরিকান গেমসের শিরোপা জিতেছে ৪ বার। ৩. কনমেবল প্রি অলিম্পিক টুর্নামেন্ট শিরোপা জিতেছে ৭ বার। ৪. ফিফা অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ জিতেছে ৫ বার। ৫. ফিফা অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জিতেছে ৪ বার। ৬. সাউথ আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে ১১ বার। ৭. সাউথ আমেরিকান অনূর্ধ্ব ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ- ১২ বার। ৮. সাউথ আমেরিকান অনূর্ধ্ব ১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ- ৫ বার। ৯. সাউথ আমেরিকান গেমস- ০ বার অন্যদিকে অনূর্ধ্ব পর্যায়ে আর্জেন্টিনার অর্জন- ১. অলিম্পিক গোল্ড মেডেল জিতেছে ২ বার।
২. প্যান আমেরিকান গেমসের শিরোপা জিতেছে ৭ বার। ৩. কনমেবল প্রি অলিম্পিক টুর্নামেন্ট শিরোপা জিতেছে ৫ বার। ৪. ফিফা অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ জিতেছে ৬ বার। ৫. ফিফা অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জিতেছে ০ বার। ৬. সাউথ আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে ৫ বার। ৭. সাউথ আমেরিকান অনূর্ধ্ব ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ- ৪ বার। ৮. সাউথ আমেরিকান অনূর্ধ্ব ১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ- ১ বার। ৯. সাউথ আমেরিকান গেমস- ২ বার যে ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন ফুটবলপ্রেমীরা, সেই ম্যাচ দুয়ারে।
চলতি মাসেই মুখোমুখি হবে লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। উপলক্ষ কাতার বিশ্বকাপের বাছাই। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ব্রাজিল কোচ তিতের কাছে পাচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব। বাছাইয়ের চেয়েও বড় করে দেখছেন আর্জেন্টিনা ম্যাচকে। বাংলাদেশ সময় ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ছয়টায় মারাকানা স্টেডিয়ামে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ফিফার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার প্রকাশিত তিতের সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তার কোচিং ক্যারিয়ারের নানা দিক। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলার আগে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। দুই ম্যাচ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানালেন তিতে। “দুটি ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাছাইপর্ব খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। গত বাছাইয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দুটি কৌশলগত দিক দিয়ে ছিল আমাদের খেলা সবচেয়ে সেরা দুই ম্যাচ। দুই দলই আক্রমণের চেষ্টা করেছিল, সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছিল,
প্রতিপক্ষের জন্য দুই দলই কাজটা করে তুলেছিল কঠিন। ম্যাচ দুটি ছিল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। দুটি ম্যাচই আমাদের জন্য ছিল কঠিন।” “ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচগুলোতে ঐতিহাসিকভাবেই একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। আর্জেন্টিনা দলে রয়েছে অসাধারণ সব খেলোয়াড়। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ হলেও আমার কাছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ নিজেই একটি আলাদা প্রতিযোগিতা।”
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৪ ম্যাচে শতভাগ জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে ব্রাজিল। সবশেষ ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জেতা দলটি এবারের বাছাইয়ে ১২ গোল করার বিপরীতে খেয়েছে কেবল দুটি। সমান ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়ার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে ১০ দলের তালিকায় সাতে। আগামী ২৭ মার্চ স্বাগতিক কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল