সকাল সকাল তুমুল অ`শান্তি। ভালো বাংলায় বলতে গেলে দাম্পত্য`কলহ . শুধু দা`ম্পত্য সমস্যাই নয়, চল্লিশ পেরনো পুরুষের জীবন আরো নানা জটিল`তায় পূর্ণ . এই বয়সে শুরু হয় নানা-বিধ শারীরিক স`মস্যা হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস হঠাৎ মোটা হয়ে যাওয়া, কোলে`স্টেরল বেড়ে যাওয়া
ফ্যাটি লিভার সব এই বয়সেই দেখা দেয় . চিন্তায় পড়ে গেলেন ? স্বামী যখন চল্লিশের ক্রাই-সিস সময় পার করছেন তার এই সময়-টাতে আপনিই দাঁড়াতে পারেন তার হাত ধরে। কীভাবে ! চলুন দেখে নেওয়া যাক–
১. খাওয়া-দাওয়া :
সকালের নাস্তা কখনো মিস করতে দেবেন না . সকাল নয়টার মধ্যে নাস্তার অভ্যাস গড়ে তুলুন . বেশি রাত করে রা`তের খাবার দেবেন না . এক-দুই দিন রাত হয়ে যেতেই পারে, কিন্তু প্রতিদিন যেন খাবারে দেরি না হয় তা খেয়াল রাখুন !
২. ব্যায়াম :
চল্লিশ পেরিয়ে গেলে ব্যায়াম অত্যাব-শ্যক হয়ে দাঁড়ায় . সকালেই যে ব্যা`য়াম করতে হবে তার কোনো মানে নেই . অফিস থেকে ফিরে ও করা যায় । দৌড়ানো সাঁতার কাটা, জো,রে হাঁটা – সাইকেল চালানো খুব ভালো ব্যায়াম । ছুটির দিনে স্বামীকে উৎসাহ দিতে আপনিও তার স`ঙ্গী হয়ে হাঁটতে বের হয়ে যান!
৩. অস্বা’স্থ্যকর অভ্যাস :
কোলে`স্টেরল, উচ্চ রক্ত-চাপ, ডায়েবে`টিসের সঙ্গে স,ঙ্গে কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও চল্লিশের পর পুরুষ,দের বিপদ ডেকে আনে । সিগারেট বা মদ্য-পানের নেশা শরীরে প্র`ভাব ফেলে মারাত্মক-ভাবে। ফ্যাটি লিভার এই বয়সের পুরুষ`দের একটা সাধারণ সমস্যা । ফ্যা,টি লিভার থেকে হয়ে যেতে পারে লি`ভার সিরো`সিস–
এছাড়া এই বয়সে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাই`টিসের সমস্যা আরো বেড়ে যায় : আপনি হয়তো হু,ট করেই স্বামীর অস্বাস্থ্য,কর অভ্যাস দূর করে ফেলতে পারবেন না .তবে এ সম্পর্কে তাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন . বিভিন্ন আ`র্টিকেল তাকে পড়তে দিয়ে এ বিষয়ে ওয়াকি;বহাল ক,রতে পারেন।
৪. জীবন-ধারায় পরিবর্ত :
স্বামীর জীবন-ধারার পরিবর্তনে আপনি`ই নিতে পারেন মুখ্য ভূমিকা। পরিবার বা কাজের জায়গাকে দায়িত্ব হিসেবে না দেখে সেটা-কে ভালোবাসার জায়গা ভাবতে হবে . স্বামীকে বোঝান অফিস বা পরিবারে যেমন দায়িত্ব রয়েছে ঠিক তেমন-ভাবে প্রাপ্তি ও আছে .কাছের মানুষ,দের সঙ্গে পার,স্পারিক আদান-প্রদানের মধ্যে যে অনেক ভালো-লাগা জড়িয়ে আছে তা বুঝতে তাকে সাহায্য করুন—
৫. নিজে`দের নতুন করে খুঁজুন :
বিয়ের কয়েক বছর পরেই সম্পর্ক`তে এক`ঘেয়েমি চলে আসে . দুজন মিলে সেই একঘেয়েমি থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে নিন । হঠাৎ করে এক-সঙ্গে বাইরে বের হওয়া, রেস্তো-রাঁতে রাতের খাবার খেতে যাওয়া, এক-সঙ্গে সিনেমা দেখা আপনাদের সম্পর্কের এক ঘেয়েমি কাটাতে সাহায্য করবে .
৬. অভি,যোগ নয় :
সময় দিচ্ছে`ন না বলে স্বামীর কাছে অভিযোগ করেন স্ত্রী`রা . অভিযোগের আঙুল উঠলে স্বামীরা হয়ে যান ডি`ফেন্সিভ . ফলে লে`গে যায় ঝগড়া . আসলে স্বামী`কেআপনি অভিযোগ করতে কথা-গুলো বলেন না, চান তার ব্যব`হারের পরিবর্তন . তাহলে অভি`যোগের সুরে নয় আন্তরিক -ভাবে ব্যাপারটা জানান .
(স্বামীর অপার`গতা বুঝতে পারলে`ই
এবং সে ব্যাপারে সহানুভূতি-শীল ,হতে পারলে দেখবেন আপনাদের বোঝা-পড়াটা ও হবে মজবুত . চল্লিশ পেরিয়ে গেলে ও আপনার স্বামীর মন থাকবে সব-সময় ফুরফুরে>.