আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে সাত দিনের ‘কঠোর লকডাউন’। এই সময়ের মধ্যে অফিস-আ’দালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। কিন্তু জরুরি পরিষেবার বাইরে শুধু রপ্তানিমুখী গার্মেন্ট শিল্প-কারখানা, বন্দর খুবই সীমিত পরিসরে ব্যাংক ও কোরবানির হাট খোলা রাখার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম-কানুন না মানলে গার্মেন্টও বন্ধ করে দেবে সরকার। কারখানার শ্রমিকদের কাছাকাছি অবস্থানে থেকে কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে শিল্প মালিকদের বলা হয়েছে। বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার গতানুগতিক নয়, কঠোরভাবেই লকডাউন পালনের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। কারণ অ’তীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ভ’য়াবহ আকার ধারণ করছে। এমন অবস্থায় মানুষের অকাল মৃ’ত্যু ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের বিকল্প দেখছে না সরকার। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কঠোর লকডাউন মানাতে পু’লিশের পাশাপাশি এবার বিজিবি ও সে’নাবাহিনীও থাকবে। তারা কঠোর মনোভাব নিয়েই রাস্তায় দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। বৈঠকে মন্ত্রীদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দু’র্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদসচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসনসচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সে’নাবাহিনী, বিজিবি, পু’লিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মক’র্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যু’ক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ছোট গাড়ি চালাতে পারবে। গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনা-নেওয়া করতে হবে। তবে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির মালিক ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যু’ক্ত কর্মক’র্তা-কর্মচারীদের ছোট গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না, তাদের হোম অফিস বা ফ্যাক্টরির ভেতরে থেকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে,
জরুরি সেবা ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। অ’তীতের মতো কোনো মুভমেন্ট পাসও থাকছে না। কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে পু’লিশ, বিজিবি ও সে’নাবাহিনীর টহলদলের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। যারা বিধি-নিষেধ মানবে না, তাদের বি’রুদ্ধে কঠোর শা’স্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বুধবার এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি সংক্রামক রোগ আইনের অধীনে সংশ্লিষ্টদের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করবেন বলে জানা গেছে। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, কঠোর বিধি-নিষেধ না মানলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।