Breaking News
চোখে ছানি পড়ে বায়ু দূষণের কারণে

চোখে ছানি পড়ে বায়ু দূষণের কারণে

বায়ু দূষণের কারণেও চোখে ছানি পড়তে পারে বলে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। মেডিকেল ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বায়ু দূষণ চোখের ছানির জটিল অবস্থা তৈরি করতে পারে।

সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, উচ্চতর পরিমাণে সূক্ষ্ম কণা পদার্থযুক্ত দূষণের জায়গাগুলোতে বসবাসরত লোকজনের চোখে ছানি পড়ার হার ৬ শতাংশ বেশি। সেই তুলনায় স্বল্প দূষিত অঞ্চলের বাসিন্দাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে, ইনভেসটিগেটিভ অপথালমোলজি অ্যান্ড ভিস্যুয়াল সায়েন্স, ২০20-এ।

এই গবেষক দলের অন্যতম ইউসিএল চক্ষু হাসপাতালের শিক্ষক পল ফস্টার বলেন, বায়ু দূষণের সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্য কেন জড়িয়ে রয়েছে, তার আরও একটি কারণ আমরা খুঁজে পেয়েছি। অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের পাশাপাশি চোখের স্বাস্থ্যকেও ঠিক রাখতে বায়ু দূষণ এড়িয়ে চলা উচিত।

তার কথায়, যদিও আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলতে পারছি না, কারণ গবেষণাটি প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী, এই গবেষণার মধ্য দিয়েই জানতে পারব চোখের ছানির জন্য বায়ু দূষণ কতটা দায়ী।

বায়ু দূষণের ভয়াবহতা থেকে কী করে চোখকে রক্ষা করা যেতে পারে, তা নিয়েও পরীক্ষা চলছে বলে তিনি জানান।

চিরতরে অন্ধত্ব হওয়ার শীর্ষে রয়েছে চোখের ছানির জটিল অবস্থা। বিশ্বের প্রায় ৬০ মিলিয়নেরও বেশি মানু্ষ এতে আক্রান্ত। গ্লুকোমা হলে চোখের মধ্যে থাকা তরলের ওপর চাপ বাড়ে। যার ফলে চোখের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ স্থাপনকারী অপটিক স্নায়ুটির ক্ষতি হয়। এই গ্লুকোমা একটি স্নায়ুজনিত রোগ।

ফস্টার বলেন, গ্লুকোমার ঝুঁকি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। বৃদ্ধ বয়সে বা বংশগতভাবেও অনেকে এই রোগের শিকার হতে পারেন। তবে গ্লুকোমার ঝুঁকি অনেকটাই কম হতে পারে, যদি চোখের ওপর চাপ কম পড়ে।

সূত্র: এই সময়

বিডি প্রতিদিন/কালাম

Check Also

সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান কচি বাঁশ।

সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান কচি বাঁশ।

প্রচলিত জনপ্রিয় ধারার একটি শব্দ বাঁশ। একে অপরকে ক্ষতি করার ক্ষেত্রে অথবা উপহাস করার ছলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!