মা’দকসহ র্যা’বের হাতে গ্রে’প্তার হওয়া পরীমণিকে নিয়ে মুখ খুলেছেন তার প্রথম স্বামী ফেরদৌস কবীর সৌরভ। পরীমণির নাম পরিবর্তন করে তারকা হয়ে যাওয়ার গল্প উঠে এসেছে সৌরভের মুখে। উশৃ’ঙ্খল জীবনযাপনের পরিণতি এমনটাই হবে বলে ধারণা ছিল সৌরভের।
বুধবার (০৪ আগস্ট) বিকেলে পরীমণিকে তার বাসা থেকে প্রথমে আ’ট’ক করা হয়। র্যা’বের অ’ভি’যানে পরীমণির বাসায় বিপুল পরিমাণ ম’দ ও ভ’য়ঙ্ক’র মাদ’কদ্রব্য উ’দ্ধা’র করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তাকে বনানী থা’নায় নিয়ে মাম’লা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল।
পরীমণির গ্রে’প্তারের পর তার সাবেক স্বামী ফেরদৌস কবীর সৌরভের সাক্ষাৎকার নিয়েছে একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা। বৃহস্পতিবার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে সৌরভ জানান, শামসুন্নাহার স্মৃ’তি ওরফে পরীমণির সঙ্গে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ে হয় সৌরভের। সৌরভ ভালো ফুটবল খেলতে পারায় তার ডাক পড়ে ঢাকায়। তখন স্ত্রী’কে নিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে বাসা ভাড়া নেন। পরীমণিকে মিরপুরের একটি কলেজে ভর্তি করেন।
সৌরভের দেওয়া তথ্য মতে, কলেজে পড়া অবস্থায় মিডিয়ায় জ’ড়িত এক ব্যক্তির নজরে পড়েন পরী। পরীর বিভিন্ন রকম তুলে পত্রিকায় ছাপেন ওই ব্যক্তি। এরপর তাকে মডেল ও অ’ভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখান সেই ব্যক্তি। তখন থেকেই শামসুন্নাহার স্মৃ’তি নাম পাল্টে পরীমণি হয়ে যান।
এর কিছু দিন না যেতেই পরীমণি উশৃঙ্খল জীবন যাপন শুরু করেন। ফলে স্বামীর সঙ্গে দূ’রত্ব শুরু হয়। পরে মিডিয়ার সঙ্গে জ’ড়িত সেই ব্য’ক্তিকে পরীমণি বিয়ে করেছেন বলে সৌরভ জানতে পারেন। এরপর ২০১৫ সালে সৌরভ ঢাকা ছেড়ে কেশবপুরে ফিরে যান। স্বামীকে বিদায় করার পরই পরীমণি মা’দকে জ’ড়িয়ে পড়েন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি নিয়’মিত মাদ’কাশ’ক্ত বলে জানিয়েছেন র্যা’বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে র্যা’ব সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসায় মিনিবার ছিল, যেখানে ডি’জে পা’র্টি করা হতো। সেখানে মা’দক গ্রহণ চলতো। পরীমণি ২০১৬ সাল থেকে মা’দক সে’বন করতেন। এমনকি ভ’য়’ঙ্কর মা’দক এলএ’সডি ও আইসও সে’বন করতেন নায়িকা পরীমণি। তার বাসায় একটি মিনি বারও রয়েছে। আর অ’ভিনেতা-প্রযোজক নজরুল ইস’লাম রাজ পরীমণির বাসায় এসব মা’দক সাপ্লাই (সরবরাহ) করতেন। এছাড়া যারাই তার বাসায় যাতায়াত করতেন তালিকা করে যাচাই বাছাই শেষে তাদের বি’রু’দ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান খন্দকার আল মঈন।