চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আ’ট’ক করে নিয়ে যাওয়ার সময় অ’ভিনেত্রীর বনানীর বাসায়ই ছিলেন তার নানা শামসুল হক গাজী। আ’ট’ক হওয়ার আগে পরীমনি যখন ফেসবুকে লাইভ করছিলেন, তখন বার বার এক নারীকে খালা সম্মোধন করে তিনি বলছিলেন, ‘খালা তুমি এখান থেকে যাচ্ছো না কেন, যাও। আর নানুকে এ বিষয়ে কিছুই বইলো না।
জানা যায়, পরীমনির নানা শামসুল হক গাজী দীর্ঘদিন ধরে অ’সুস্থ। তিনি নাতনির সঙ্গেই থাকেন বনানীর ফ্ল্যাটে। পরীমনিকে আ’ট’ক করে যখন বনানীর বাসা থেকে র্যা বের গাড়ি বহর বের হচ্ছিল, ঠিক তখন বাসার উপরে তাকিয়ে দেখা যায়, কেউ একজন জানালা খুলে বাইরের দৃশ্য দেখার চেষ্টা করছেন।
একটু ভালো ভাবে খেয়াল করে তাকাতেই বোঝা গেল, তিনি আর কেউ নন, অ’ভিনেত্রী পরীমনির নানা শামসুল হক গাজী। তিনি পাঁচতলা থেকে অসহায় ভাবে নিচে তাকিয়ে দেখছিলেন পরীমনিকে আ’ট’ক করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। হয়তো এ দৃশ্য দেখার জন্য তিনি মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। তবুও তাকে দেখতে হয়েছে।
মাত্র তিন বছর বয়সে মা হা’রানোর পর পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছেই বেড়ে উঠেছিলেন আ’লোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমনি। নানার তত্ত্বাবধানে থেকেই তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছিলেন। মা-বাবার স্নেহ পরী নানার কাছেই পেয়েছেন। কিন্তু নাতনির খা’রাপ সময়ে পাশে থাকতে পারলেন না তিনি। শুধু জানালা দিয়ে অসহায় চোখে তাকিয়ে দেখলেন।
বুধবার বিকালে চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় অ’ভিযান চালায় র্যা ব। এরপর বিপুল মা’দকসহ তাকে আ’ট’ক করা হয়। নেওয়া হয় র্যা ব সদরদপ্তরে। এই নায়িকার বি’রুদ্ধে প’র্নোগ্রাফি ব্যবসার অ’ভিযোগ উঠেছে। একই অ’ভিযোগে বুধবার সন্ধ্যার পর আ’ট’ক করা হয় প্রযোজক নজরুল ইস’লাম রাজকে। তার বাসা থেকেও মা’দক উ’দ্ধার করে র্যা ব।