রাশিয়ার দাগিস্তানে এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয় শিশু আলিয়া ইয়াকুব। প্রতি শুক্রবার তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ত্বকের নীচে জমাট র’ক্তের মতো হরফে পবিত্র কোরআন বা হাদিসের একেকটা বানী লেখা ভেসেএর স্থিরচিত্র বিভিন্ন মানুষ তুলে রাখেন। বাড়িতে একটি অ্যালবামের প্রদর্শনী খোলা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের একটি টেলিভিশন শিশুটির মায়ের সাক্ষাৎকার নেয়।
শিশুটির মা টেলিভিশনটিতে বলেন, ‘যে সময় তার দে’হে আয়াত বা হাদিস ভেসে ওঠে এর আগে তার অনেক জ্বর আসে। সে সময় সে প্রচণ্ড কান্না করতে থাকে। এরপর লেখাগু’লো ভেসে উঠলে জ্বর কমে এবং কান্না থেমে যায়। দুধ পান করার সময়ও সে খুব শান্ত থাকে। ভিডিওটিতে শিশুটির নানা অ’ঙ্গে আয়াত ও হাদিসের কিছু চিত্র দেখা যাব’ে। কিছু স্থিরচিত্র প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘এটি আল্লাহর কুদরত ও মহানবী স-এর মুজিযা। যে কোনও কারণে আল্লাহ তা তার বান্দা অথবা প্রকৃতির মধ্যে প্রকাশ করে থাকেন। যাতে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ ও ঈমান মজবুত করতে পারে।’
অনেকে বলছেন, ‘এটি ইমাম মাহাদির আগমনের অন্যতম নমুনা। কিয়ামতের নিদর্শনও ‘হতে পারে এটি। শিশুটির পেটে ‘আল্লাহ’ গলায়, পায়ে, ঘাড়ে, পিঠে ও কানে আল্লাহর নাম। পা থেকে উরু হয়ে কোমর’ পর্যন্ত লম্বা লেখাটি হচ্ছে একটি হাদিসের বানী। যার অর্থ, আমি যা জানি তা যদি তোমর’া জানতে তাহলে হাসতে কম কাঁদতে বেশি।
টিভিতে বলা হয়, প্রতিদিন আলিয়া ইয়াকুবদের বাড়িতে গড়ে ২ হাজার লোক বিস্ময়কর এ ঘটনা দেখতে আসেন। আরো পড়ুন==নিউজিল্যান্ডে মু’সলিম নারী পু’লিশদের হিজাব পরার অনুমতিমু’সলিম নারীদের পু’লিশ বাহিনীতে যোগদানে উদ্বু’দ্ধ করতে নিউজিল্যান্ড পু’লিশের পোশাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হিজাব। সদ্য নিয়োগ পাওয়া পু’লিশ কনস্টেবল জিনা আলী হবেন প্রথম পু’লিশ কর্মক’র্তা, যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার পোশাকের স’ঙ্গে হিজাব পরবেন। খবর বিবিসির।
পু’লিশের একজন মুখপাত্র বলেন, দেশের বহুজাতি গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে সেবা নিশ্চিত করাই তাদের উদ্দেশ্য। এর ফলে আরো বেশি মু’সলমান নারী পু’লিশ বাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী হবে বলে তারা আশা করছে। এর আগে ২০০৬ সালে যু’ক্তরাজ্যের লন্ডনের পু’লিশ সি’দ্ধান্ত নিয়েছিল, তাদের পু’লিশ সদস্যরা চাইলে ইউনিফর্মের স’ঙ্গে হিজাব পরতে পারবেন। ২০১৬ সালে একই রকম সি’দ্ধান্ত নেয় স্কটল্যান্ডের পু’লিশ।
এর আগে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার মাহা শুক্কুর তার পোশাকের স’ঙ্গে হিজাব পরেন। নিউজিল্যান্ডের পু’লিশ জানিয়েছে, সেকেন্ডারি পু’লিশ স্কুল পরিদর্শনের পর পু’লিশ কর্মক’র্তাদের সুপারিশের পর ২০১৮ সাল থেকেই ইউনিফর্মের স’ঙ্গে হিজাব সংযু’ক্ত করার ব্যাপারে কাজ শুরু করে। নিজের পোশাকের অংশ হিসাবে প্রথম হিসাব ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন কনস্টেবল আলী।
এরপর এই পোশাকের চালু করার কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কনস্টেবল আলী ফিজিতে জন্মগ্রহণের পর শি’শু অবস্থায় নিউজিল্যান্ডে চলে আসেন। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের তথ্য অনুযায়ী, ক্রা’ইস্ট চার্চ স’ন্ত্রা’সী হা’মলার পরে তিনি পু’লিশে যোগ দেয়ার সি’দ্ধান্ত নেন।
জিনা আলী বলেন, ”আমি উপলব্ধি করতে শুরু করলাম, মানুষকে সহায়তা করার জন্য পু’লিশ বাহিনীতে আরও বেশি মু’সলমান নারীদের অংশগ্রহণ করা উচিত। নিউজিল্যান্ড পু’লিশ বাহিনীতে আমা’র পোশাকের অংশ হিসাবে হিজাব তুলে ধরতে পারায় আমা’র খুব ভালো লাগছে।” এটা দেখে এখন আরও বেশি মু’সলমান নারী পু’লিশে যোগ দিতে চাইবেন বলেও জানান জিনা।