দেশীয় ই-কমা’র্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ শপের বি’রুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অর্ডার নিয়ে এখন পণ্য ডেলিভা’রি না দেওয়ার অ’ভিযোগ উঠেছে। এই অ’ভিযোগে গুলশানে আ’ন্দোলনে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটির হাজারো গ্রাহক। এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন ম’র্তুজা ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অ’ভিযোগ করছে গ্রাহকরা। অনেকের দাবি এই ক্রিকেটারের নাম শুনে প্রতিষ্ঠানটি থেকে পণ্য কেনার জন্য টাকা দিয়েছেন তারা।
ই-অরেঞ্জ শপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফি। আ’ন্দোলনরত গ্রাহকরা বলছেন, গ্রাহকদের অধিকাংশই ই-অরেঞ্জএর ব্রান্ড এম্বাসেডর, সাবেক ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন ম’র্তুজা দেখেই অর্ডার করেছিলাম। কাজেই এই দায় এড়াতে পারেননা তিনি। প্রয়োজনে তারা মাশরাফির সাথেই যোগাযোগ করবেন।
সবশেষ পাওয়া তথ্যমতে মাশরাফি বিন ম’র্তুজার বাসায় যাচ্ছেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। এর আগে তারা রাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সোমবার (১৬ আগস্ট) গুলশান-১ এর ১৩৭ নম্বর রোডে অবস্থিত ই-অরেঞ্জের কার্যালয় থেকে মিপুর-১২ তে মাশরাফি বিন ম’র্তুজার বাসায় আলোচনার জন্য যাচ্ছেন তারা। এ সময় ভুক্তভোগী কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাশরাফি বিন ম’র্তুজা সম্পৃক্ত রয়েছেন। তার সঙ্গে আমাদের ফোনে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের বলেছেন, তার বাসায় যেতে। সেখানে আমাদের দাবি নিয়ে কথা হবে।এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ করেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। গুলশান থা’নার ইন্সপেক্টর (ত’দন্ত) আমিনুল ইস’লাম বলেন, ৪০ জন গ্রাহক মোটরসাইকেল নিয়ে গুলশান-২ মোড়ে আসেন। পরে তারা সেখান থেকে গুলশান-১ এর দিকে চলে যান।
ই-অরেঞ্জের এক গ্রাহক বলেন, আম’রা ই-অরেঞ্জ নামের ই-কমা’র্স সাইট থেকে বাইক, মোবাইলসহ নানা পণ্য অর্ডার করেছিলাম। আম’রা সরকারের ই-কমা’র্স নীতিমালা প্রকাশের আগে ই-অরেঞ্জের ডাবল টাকা ভাউচার কিনেছিলাম। কর্তৃপক্ষ গত ১৬ মে (সম্ভাব্য তারিখ) থেকে সব ডেলিভা’রি বন্ধ রেখেছে। ১৮ জুলাই ই-অরেঞ্জ একটি ডেলিভা’রি ডেট প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে লকডাউনের দোহাই দিয়ে ডেলিভা’রি বন্ধ করে দেয়। পরে জানায় লকডাউন শেষ হলে ডেলিভা’রি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। লকডাউন শেষ হওয়ার আগের দিন ১০ আগস্ট তারা আবার নতুন করে ১৬ আগস্ট ডেলিভা’রির তারিখ প্রকাশ করে।
এদিকে সোমবার (১৬ আগস্ট) ই-অরেঞ্জ তাদের অফিসিয়াল পেজে জানায়, পূর্বের বাইক সেলারের সঙ্গে তারা চুক্তি বাতিল করেছে। তারা নতুন সেলার পেতে বা নিজেরা বাইক ইমপোর্ট করতে ৪৫-৬০ কর্ম’দিবস লাগবে। তাই যারা বাইক নিতে চান, তাদের অ’পেক্ষা করতে হবে অথবা রিফান্ড রিকুয়েস্ট করতে হবে। বেশ কয়েকজন গ্রাহক রিফান্ড চেয়ে ফোন করায় তারা ২১ কর্ম’দিবসের কথা বলে। তখন সরকার নির্ধারিত ১০ দিনের কথা বলায় তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তাই গ্রাহকরা সড়কে অবস্থান নেন।