Breaking News
রহস্য উদঘাটন মানুষ কেন মোটা হয়?

রহস্য উদঘাটন মানুষ কেন মোটা হয়?

ব্রিটেনের একদল বিজ্ঞানী বলছেন কেন কিছু মানুষ হাল্কা-পাতলা রয়ে যায়, আর কিছু মানুষ সহজেই মোটা হয়ে যায় – তার রহস্য তারা খুঁজে পেয়েছেন।

 

তারা বলছেন, খাবার বা নিত্যদিনের জীবনধারার চেয়ে শরীরের ওজনের মাত্রা অনেকটাই নির্ভর করে সুনির্দিষ্ট এক ধরনের জীনের ওপর।

 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, গবেষণায় হাল্কা-পাতলা দেহের মানুষদের শরীরে তারা “লাকি” এক সেট জীনের উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছেন।
শরীরের ওজন বাড়া-কমা নিয়ে গত কয়েক দশকে অনেক গবেষণা হয়েছে। দেখা গেছে, কিছু বিশেষ জীন এবং সেগুলোর পরিবর্তনের কারণে মানুষের ওজন বেড়ে যায়।

 

কিন্তু মোটা হওয়ার কারণ নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, সে তুলনায় কেন কিছু মানুষ অনেক খাওয়া-দাওয়া করে, ঘুমিয়েও হাল্কা-পাতলা রয়ে যায় তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা কমই হয়েছে। এই প্রথম ব্রিটেনে হাল্কা -পাতলা থাকার রহস্য ভেদের বড়-সড়সড় চেষ্টা হলো।

 

১৬০০ হাল্কা-পাতলা কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ মানুষের ডিএনএ নমুনার সাথে ২,০০০ মোটা মানুষ এবং ১০,৪০০ স্বাভাবিক ওজনের মানুষের ডিএনএ নমুনার তুলনা করা হয়েছে এই গবেষণায়।তাদের নিত্যদিনের জীবন-যাপনও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

 

পরীক্ষায় দেখা গেছে, যে সব জীনের প্রভাবে মানুষের ওজর বেড়ে যায় হাল্কা-পাতলা মানুষের শরীরে সেসব জীনের সংখ্যা কম। শুধু কমই নয়, সেসব জীনের পরিবর্তনের ধরণও ভিন্ন।

 

‘তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে পৌঁছুনো ঠিক নয়’

 

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদাফ ফারুকি, যিনি এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন, বলেছেন, মানুষের শরীরের ওজন নিয়ে দোষারোপ সবসময় ঠিক নয় কারণ, সেই ওজন বাড়ার পেছনে ব্যক্তির হয়তো কোনো ভূমিকাই নেই।

 

এই গবেষণায় প্রথমবারের মত দেখা গেলে যে যেসব জীনের প্রভাবে মানুষ মোটা হয়ে যায়, হাল্কা-পাতলা শরীরের লোকদের শরীরে সেসব জীনের সংখ্যা কম। এটা সবসময় ঠিক নয় যে মোটা মানুষেরা হাল্কা-পাতলা মানুষদের চেয়ে বেহিসাবি বেসামাল জীবন যাপন করে।

 

মানুষের ওজন নিয়ে হুট-হাট করে সমালোচনা করা সহজ, দোষারোপ করা সহজ, কিন্তু বিজ্ঞান বলছে যে ওজনের বিষয়টি খুবই জটিল।যতটা চাই বা ভাবি আমাদের শরীরের ওজনের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ তার চেয়ে অনেক কম।

 

বিজ্ঞানীরা বলছেন , তাদের এই গবেষণার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এই ফলাফল এবং নতুন জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মানুষের ওজন কমানোর জন্য কার্যকরী কৌশল ঠিক করা।

 

এই গবেষণার ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে লন্ডনের কিংস কলেজের পুষ্টি বিজ্ঞানের স্বনামধন্য অধ্যাপক টম স্যান্ডারস বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই গবেষণা নিশ্চিত করছে যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অতি মোটা হয়ে যাওয়ার পেছনে জীনের ভূমিকাই মুখ্য।

 

কিন্তু তিনি একইসাথে বলেন – অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বয়স বাড়ার সাথে মোটা হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে, এবং কম চলাফেরা বা শারীরিক পরিশ্রম এবং ক্যালোরি-সমৃদ্ধ খাবারের আধিক্য অবশ্যই সেখানে ভূমিকা রাখে।

 

সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

বিডি প্রতিদিন/কালাম

Check Also

সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান কচি বাঁশ।

সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান কচি বাঁশ।

প্রচলিত জনপ্রিয় ধারার একটি শব্দ বাঁশ। একে অপরকে ক্ষতি করার ক্ষেত্রে অথবা উপহাস করার ছলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!