বিশ্বের বিভিন্ন বড় ও ব্যাস্ত শহরগুলোর অন্যতম প্রধান সমস্যা ট্র্যাফিক জ্যাম। রাস্তার এই যানজট কমাতে তাই অনেক দিন ধরেই ফ্লাইং কার বা উড়ন্ত গাড়ি তৈরির চিন্তা করে আসছিলেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি সেই চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে সফলভাবে আকাশে উড়েছে স্বপ্নের সেই উড়ন্ত গাড়ি।সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, স্লোভাকিয়ার নিটরা এবং ব্রাটিস্লাভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে সফলভাবে উড্ডয়ন করেছে এই গাড়িটি।
উড়তে সক্ষম এই হাইব্রিড কার-এয়ারক্রাফট’টির নাম ‘এয়ারকার’। গাড়িটির মধ্যে একটি বিএমডব্লিউ ইঞ্জিন রয়েছে। এটা পেট্রোলে চলে। উড়ন্ত এই গাড়িটি তৈরি করেছেন অধ্যাপক স্টেফান ক্লেইন।
তিনি জানান, এই গাড়িটি ৮ হাজার ২০০ ফুট উচ্চতায় প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। গাড়িটি এ পর্যন্ত ৪০ ঘণ্টা আকাশে উড়েছে।
অধ্যাপক ক্লেইন বলেন, এই গাড়িটি এয়ারক্রাফটে পরিণত হতে ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ড লাগে। গাড়ির দরজার সঙ্গে রয়েছে ওই সরু দুটি পাখা।
তিনি রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন করে এক শহর থেকে আরেক শহরে যান। আমন্ত্রিত রিপোর্টাররা এই দৃশ্য দেখেন। নিজের এই উড্ডয়নের অভিজ্ঞতাকে ‘স্বাভাবিক’ এবং ‘বেশ আনন্দদায়ক’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
আকাশে এই গাড়িটির গতি ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছায়। এই উড়ন্ত গাড়িতে দুইজন চড়তে পারে। আর এটা ২০০ কেজি বহনে সক্ষম।
তবে অন্যান্য ড্রোন-ট্যাক্সি প্রোটেটাইপের মতো এটা খাড়াখাড়িভাবে উড়তে বা অবতরণ করতে পারে না। বরং এটা উড্ডয়ন বা অবতরণ করতে রানওয়ে লাগে।
উড়ন্ত গাড়ির চাহিদা সামনে বাড়বে বলে মনে করছে মার্কেট বিশেষজ্ঞরা। ২০১৯ সালে কনসালটেন্ট কোম্পানি মরগান স্ট্যানলি পূর্বাভাস করে যে, ২০৪০ সাল নাগাদ ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের খাতে পরিণত হতে পারে এই শিল্প।